শিরোনাম

10/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

কীভাবে শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করবেন/How to ensure baby nutrition

 কীভাবে শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করবেন/How to ensure baby nutrition



পরিবারের অনেক সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা শিশুকে ঘিরেই আবর্তিত হয়। সন্তানের হাসি যেমন একজন মায়ের সব দুঃখ দূর করে, তেমনি একজন বাবাকেও সংসার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করে। প্রতিটি শিশু একটি ছোট্ট গাছের মতো। এটি একটি বিশাল গাছে পরিণত হওয়ার ক্ষমতা রাখে। এ সময় শিশুদের শিষ্টাচার শেখানোর পাশাপাশি আদর্শ খাবারের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। কারণ, বাচ্চাদের বড় হওয়ার সাথে সাথে সব ধরনের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। অনেক সময় তারা কিছু খাবার খেতে চায় না, সেই খাবারগুলো বাচ্চাদের বিকল্প উপায়ে খাওয়ানো উচিত।


প্রতিটি পরিবারের আলাদা আলাদা নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এই বয়সের একটি শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টি, ঘুম এবং কার্যকলাপের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে শিশুর জন্য একটি রুটিন তৈরি করুন। শিশু যেমন রুটিন অনুসরণ করতে শিখবে, তেমনি এটি পিতামাতা হিসাবে আপনার জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে।


অনুশীলনে শিশুর আচরণ

যদিও গৃহস্থালির কাজগুলো করা কঠিন মনে হতে পারে, তবুও শিশুকে প্রচুর সময় দিন। তার সাথে খেলুন অপ্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক গ্যাজেট শিশুদের থেকে দূরে রাখুন। মোবাইল ফোন, ট্যাব—এগুলো শিশুদের জন্য নয়। তাকে খেলনা দিন, ছবির বই কিনুন। শিশুর সাথে বসে খেলুন, বই পড়ুন। মনে রাখবেন, বাচ্চারা গ্যাজেট চায় না। আপনার অবিভক্ত মনোযোগ চায়. চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিনিসের রং দেখান, ফুল-পাতা, আকাশ, গাছ বা পাখি দেখান এবং গণনা শেখান। বই থেকে বর্ণমালা শিখুন। প্রতিদিনের ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন। ঘুমাতে না চাইলেও চুপচাপ শুয়ে থাকার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কিন্তু শিশুকে ঘরের ভেতরে ও বাইরে যথেষ্ট কাজে ব্যস্ত রাখলে শিশু ক্লান্ত হয়ে পড়বে।


দুই বছর বয়স থেকে শিশুদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে। তারপর পিতামাতার দেওয়া সময়, আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা তার ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়তা করে। সম্ভব হলে তাকে অন্য শিশুদের সাথে খেলতে দিন। এটি একটি খোলা পার্কে নিয়ে যান, এটি বন্যভাবে চলতে দিন। হাতে কলমে প্রকৃতি জানুন।


শিশুর খাবারের যত্ন নিন

ছয় মাস থেকে দুই বছর সময়কাল শিশুদের জন্য খুবই সংবেদনশীল। এই বয়সে শিশুকে মায়ের দুধ ছাড়াও অন্যান্য পরিপূরক খাবার দেওয়া হয়। কিন্তু পরিপূরক খাবারে স্বাদের তারতম্য না থাকায় শিশু একই খাবার খেতে পছন্দ করবে না। শিশুর হজমের সমস্যা হতে পারে, তাই এ বয়সের শিশুদের খাবারে তেমন নতুনত্ব আনা যায় না। তবে অবশ্যই স্বাদের ভিন্নতার জন্য হালকা কিছু যোগ করা যেতে পারে।


এছাড়াও, যেহেতু শিশুরা বেশি পানি পান করে না, তাই মায়ের দুধের সাথে আধা-তরল খাবার বেশি খাওয়ানো হয়। এটি শিশুর পেট অনেকক্ষণ ভরা রাখে। এর পাশাপাশি শিশুরা সব ধরনের পুষ্টিও পায়, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেক বাবা-মা বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে চিন্তিত। এই সমস্যা সাধারণত তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে শিশুদের হয়। অনেক বাবা-মা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বুঝতে পারেন না। তাই শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্যের ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন হওয়া খুবই জরুরি। যদি কোনো শিশু সপ্তাহে তিনবারের কম মল ত্যাগ করে এবং যদি মল খুব শক্ত হয় এবং মলদ্বারে ব্যথা হয়, ক্ষুধা কমে যায়, মাঝে মাঝে পেটে ব্যথা হয়, ফুলে যায়, তাহলে বাবা-মাকে বুঝতে হবে যে শিশুটি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছে।


শিশুদের খাদ্যতালিকায় ফাইবার অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি মলকে নরম করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ হয়। বাঁধাকপি, মিষ্টি আলু শাক, কলার শাক, পুদিনা পাতা, পুইশাক, মুলাশাক, দাঁতশাক, লাউ এবং মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। পানি খাবার হজমে সাহায্য করে। বেশি পানি পান করা কোলনকে পরিষ্কার করে এবং শরীরকে খাদ্য থেকে পুষ্টি উপাদানগুলোকে আরও সহজে শোষণ করতে দেয়। তাই প্রতিদিন শিশুকে বেশি করে পানি পান করা উচিত। শিশু পানি খেতে না চাইলে শরবত, তাজা ফলের রস বা স্যুপ দিতে পারেন। অনেক শিশু ফাস্ট ফুড এবং মাংস পছন্দ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে শিশুদের এ ধরনের খাবার কম দিতে হবে। আপনার সন্তানই আপনার ভবিষ্যৎ, তাই সন্তান লালন-পালনে অভিভাবকদের সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।