জ্বর, সর্দি,কাশি ও গলা ব্যাথার সমস্যায় চিন্তিত? চিন্তা নেই ঘরোয়া উপাদানই এই সব সমস্যা নির্মূল সম্ভব। কিভাবে? আসুন জেনে নেই...
তিন
বছরের ছোট্ট মেয়ে আরিশা। হঠাৎ জ্বর ও ঠান্ডা তার।
শীতের শুরুতে ও শীতের শেষে
প্রায় ছোট বড় সবারই এমনটা
হয়। তারপরও আরিশার মা সোহিনীর টেনশান
হচ্ছে মেয়েকে নিয়ে। সোহিনী টুকটাক ঘরোয়া টোটকা জানে। ঋতু
পরিবর্তনের জন্য সর্দি, কাশি, জ্বর, পেট খারাপ হয় তা ঘরোয়া
টোটকায় সহজেই নিরাময় করা যায়। তাই মেয়ের জ্বর ও ঠান্ডা নিরাময়ে
সোহিনী প্রথমে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করাই উচিত বলে মনে করে। জ্বর, সর্দি, কাশির শুরুতে ঘরোয়া টোটকা বেশ ভালো কাজ করে এবং এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকরও নয়। আর সঠিক প্রয়োগের
মাধ্যমে ফলাফলও ভালো পাওয়া যায়। তাই এই সব টুকটাক
শরীর খারাপে প্রথমেই ডাক্তারের শরনাপন্ন হবার আগে ঘরোয়া উপাচার ভালো ফলদায়ক হয়। সামান্য জ্বর, গলা ব্যথা, শরীর ব্যথা বা ম্যাজ ম্যাজ
করায় আমরা তারাতাড়ি সুস্থ হবার জন্য অ্যান্টিবায়টিক খেয়ে নেই। যা একেবারেই ঠিক
না। এতে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।কিন্তু ঘরোয়া টোটকায় কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে।
জ্বর
বড় ছোট সবারই যে কোন শারীরিক
সমস্যার উপসর্গ হিসাবে দেখা দেয়। শিশুদের যে শুধু সিজন
চেঞ্জের জন্যই জ্বর
হয় তা কিন্তু নয়।
টিকা দিলে, ঠান্ডা বা সর্দি লাগলে,
পেটের সমস্যায় মোট কথায় যে কোন সমস্যায়
জ্বর উপসর্গ হিসাবে আসতে পারে। কিন্তু এই জ্বরের তাপমাত্রা
বেশি হলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ সহ নানা রকম
শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই সামান্য শরীর খারাপ হলেই ঘরোয়া চিকিৎসা খুবই উপকারী।
নিম্নোক্ত
উপায়ে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে নানা রকম রোগের নিরাময় অল্পেই সম্ভব। যেমন -
★তাই জ্বর হলে প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রথমেই ঘরোয়া উপায়ে যা যা করণীয়
তা হলো :-
জলপট্টি
দেয়া : জ্বর হলে জলপট্টি দেয়া অতি প্রাচীনকাল থেকে প্রচলিত একটি টোটকা। একটা পাতলা কাপড় ঠান্ডা জলে অর্থাৎ বরফ দেয়া জলে ভিজিয়ে ভালো করে পানি
নিংড়ে নিয়ে বারবার কপালে দিলে জ্বর কমে আসে।
বেশি
বেশি জল খাওয়া : জ্বর
হলে ঠোঁট শুকিয়ে যায় অনেকের এবং চোখ মুখ শুকায় যায়। তাই জ্বর আসলে বার বার পানি পান করা উচিত। সর্দি
থাকলে হালকা গরম পানি খাওয়া উচিত
লেবু
ও মধুর মিশ্রণে শরবত খাওয়া : জ্বর আসলে ভিটামিন - সি জাতীয় খাবার
বা শরবত বেশি বেশি খাওয়া উচিত। আর লেবু ভিটামিন-সি এর চাহিদা
পূরণ করতে পারে খুব ভালো করে আর স্বাস্থ্য সুরক্ষায়
ও নানা রকম রোগ নিরাময়ে মধুর রয়েছে অপরিসীম গুন। তাই জ্বর আসলে লেবু ও মধুর মিশিয়ে
শরবত পান করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ডিলেডালা
জমা কাপড় পরিধান করা : জ্বরের সময় ডিলেডালা জামা কাপড় পরা উচিত। যাতে বাতাস শরীরে লাগে। আর
জ্বর কমে আসতে থাকলে প্রচন্ড ঘাম দেয়। তখন
তারাতাড়ি ঘাম পরিস্কার না করলে শিশুদের
তো অবশ্যই বড়দেরও আবার জ্বর চলে আসতে পারে।এই জন্য একটা ডিলেডালা পোশাক পড়া উচিত।
সরিষার
তেল ও রসুনের ম্যাসাজ
: প্রচন্ড জ্বরে অনেক সময় হাত ও পায়ের তালু
ঠান্ডা হয়ে যায়। তাই সামান্য সরিষার তেলে কয়েকটুকরা রসুন তেল গরমের সময় দিয়ে সেই তেল হাতের তালু পায়ের তালুতে দিয়ে মালিশ করলেও ভালো উপকার পাওয়া যা যাবে।
শরীর
পানি দিয়ে মুছে নেয়া : জ্বর বেশি আসলে সারা শরীর মুছো দেয়া উচিত। দরকার হলে গোসলও করে নেয়া যেতে পারে, এত দ্রুত জ্বর
কমে যায়।
★এবার
আসা যাক সর্দি ও গলা ব্যথা
হলে ঘরোয়া টোটকায় চটজলদি কি করে স্বস্তি
পাওয়া যায়। যাদের (বড় ও ছোট)
এজমার সমস্যা রয়েছে বা
ঠান্ডা লাগার ধাঁত আছে তারা একটু বৃষ্টি হলে বা
বর্ষার স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় বা
সামান্য শীতেই গলা
ব্যথা ও সর্দি কাশির
সমস্যায় ভুগেন। অনেকেই এটাকে নিত্যনৈমেত্তিক ব্যাপার মনে করে অবহেলা করেন, যা একেবারেই ঠিক
নয়। তাই অল্প থাকতেই ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে সহজেই এই সমস্যা উপশম
করা যায়। নিম্নে সে বিষয়েই আলোচনা
করা হলো ----
মধু
ঃ- প্রকৃতির
বিশেষগুণে ভরপুর হলো মধু। শুধু
মাত্র সর্দি কাশিতেই না চুল ও
ত্বকের যত্নেও মধুর যথাযথ ব্যবহার হয়ে থাকে। অতি প্রচীন কাল থেকে প্রায় দেশেই মধুর ব্যাপক কার্যকরী প্রয়োগ হয়ে আসছে। যেমন -
১/
মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ২/কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়,
৩/অবলের সমস্যা দূর করে, ৪/অনিদ্রা দূর
করে, অরুচি ও বমিভাব দূর৷
করতে মধু খুবই কার্যকর ৫/ শারীরিক দূর্বলতা,দূর করে ও শক্তি বাড়াতে
সহায়তা করে ৬/ শরীরের তাপমাত্রা
বৃদ্ধি করে শরীরকে করো তুলে সতেজ, সুস্থ ও কর্মক্ষম ৭/
ব্যত ব্যথা উপশমে সহায়তা করে ৮/ শিশুদের দৈহিক
গড়ন ও ওজন বৃদ্ধি
সহ শিশুদের প্রতিদিন অল্প অল্প মধু খাওয়ালে ঠান্ডা, সর্দি, কাশি ও জ্বর সহজে
হয় না।
মোট
কথায়, মধু ছোট ও বড় সকল
বয়সের সবার জ্বর, সর্দি গলা ব্যথা ও হাঁপানিসহ ঠান্ডা
জনিত যে কোন সমস্যায়
মহাঔষধ হিসাবে কাজ করে। তাই নিম্নে মধু কিভাবে খেলে কার্যকরী উপকার পাওয়া যায় তা দেয়া হলো
---
১/
মধু হচ্ছে উচ্চ ঔষধি গুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ উপাদান। তাই
প্রতিদিন ১ চামচ করে
মধু খাওয়ার অভ্যাস করা ভালো। দিনের যে কোন সময়ই
মধু খাওয়া যেতে পারে। এতে শ্বাস নালীর সমস্যা দূর হয় সাথে সর্দি
কাশিও।
২/ প্রতিদিন
সকালে খালি পেটে উষ্ণ গরম পানির সাথে একটি লেবুর রস ও ১
চামচ মধু খেলে শরীরের মেদ কাটে ও ওজন হ্রাস
হয় বলে ধারনা করা হয়। তবে ওজন কমুক আর নাই কমুম
জ্বর বা সর্দি উপশমে
কার্যকর তা পরীক্ষিত।
৩/
মধু শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়। এতে শ্বাস যন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া দূর হয় এবং বুক
থেকে কফ বা শ্লেষ্মা
দূর করে গলা ও বুক পরিস্কার
করে।
৪/
মশলাদার ( আদা, লবঙ্গ, দারুচিনি, তেজপাতা) চায়ের সাথে এক চামচ মধু
মিশিয়ে নিলেও উপকার পাওয়া যায়।
আদা
ঃ- আদা রান্নার কাজে ব্যবহৃত খুবই উপকারী ও গুরুত্তপূর্ণ একটি
মশলা। এটি শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে তা নয়। আদা
মাবন শরীরের জন্য ঔষধি হিসাবেও পরিচিত।
আদায়
রয়েছে অ্যান্টিব্যকটিরিয়াল ও অ্যান্টি ইমফ্লেমেটরি
উপাদান। এই উপাদান গুলো
থাকার কারনে আদা গলার গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া ও নানা রকম
ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামন প্রতিরোধে সহায়তা করে সুস্থ রাখে।
ঠান্ডায়
গলা ব্যথা ও কাশি হলে
সামান্য আদা কুচি সিন্দুক লবন দিয়ে চিবালে আদার রসে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
হলুদ
ঃ- হলুদ
হলো অতি আবশ্যকিয় মশলা। আমরা বাংঙ্গালিরা হলুদ ছাড়া রান্নার কথা চিন্তাই করতে পারি না। হলুদের মধ্যে একধরনের আরোগ্য শক্তি রয়েছে। এটি শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
এটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামন রোধে সহায়তা করে। তাই কোথাও আঘাত পেলে বা ক্ষত হলে
হলুদ দুধে মিশিয়ে খাওয়া হয়। হলুদে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ইমফ্লামেটরি ও কারকুমিন নামক
উপাদান রয়েছে। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে এবং ত্বকের বলিরেখা দূর করে, উজ্জলতা বাড়ায় এবং গলা ও বুকের খুসখুসে
অস্বস্থি, জ্বালা ও ব্যথা দূর
করতে সহায়তা করে।
তাই
প্রতিদিন দুধের সাথে এক চামচ হলুদ
গুড়া মিশিয়ে খেলে সর্দি ও গলা ব্যথা
সহ আরও নানা রোগের উপশম হয়। এর
সাথে সম্ভব হলে দুই চামচ মধু ও সামান্য গোল
মরিচ গুড়া মিশিয়ে খেলে তারাতাড়ি উপকার পাওয়া যাবে।
ঘি
ও রসুন ঃ- নানা পুষ্টিগুণ
সম্পন্ন রসুন শুধুমাত্র রান্নার মশলা হিসাবেই ব্যবহৃত হয় না, এর
রয়েছে নানা ঔষধি গুণও। রসুনে যে উপাদান রয়েছে
তা মূলত ক্যান্সার প্রতিরোধের এক মহা ওষুধ।
রান্না করা রসুনের চেয়ে কাঁচা রসুন শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন এক কোয়া রসুন
খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে ও হার্ট সুস্থ
থাকে।
রসুনে
যেসকল গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে সেগুলো হলো ----------
অ্যান্টি
অক্সিডেন, ক্যালসিয়াম,
কপার, পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন - B1, ভিটামিন - C সহ
অ্যালিসিনা নাম এক প্রকার কমপাউন্ড
যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। রয়েছে অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট
প্রোপার্টি যা বিভিন্ন রকমের
ইনফেকশন চিকিৎসায় কর্যকরী।
রসুনে
বর্তমান এই উপাদান গুলো
ফ্লু ও কমন কোল্ড
তাড়াতাড়ি সারাতে সহায়তা করে।
★হঠাৎ
খুস খুস কাশি হলে এক চামচ ঘিয়ে
কয়েক কোয়া রসুন ভেজে ঘি সহ খেলে
খুস খুস কাশি সেরে যায়।
★এছাড়া
শীতে আমাদের ঠান্ডা লাগার প্রবনতা বেড়ে যায়।তাই এই সময় সকালে
এক কোয়া রসুন খাওয়ার উপকার অনেক। এক মাস রেগুলার
খালি পেটে রসুন খেলে ঠান্ডা লাগার সমস্যায় অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
গরম
জলের ভাপ ঃ - গরম জলের ভাপ নেয়া সর্দি, মাথা ব্যথা, নক বন্ধ ইত্যাদি
সমস্যা খুব সহজেই নিরসণ করতে পারে। গরম পানির করে মাথারআউপরে একটি ভারী কাপড় দিয়ে কান দিয়ে গরম ভাপটা নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়লে নিমিষেই বন্ধ নাক খুলে যায় আর চট করে
মাথা ধরাও চলে যায়। তাই মাথা ধরা ও নাক বন্ধে
গরম পানির ভাপ খুবই উপকারী
মশলা
চা ঃ- সারা
বছর সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ মশলাদার
চা এক দিকে যেমন
ঘুমের জড়তা কাটিয়ে দিতে পারে অন্য দিকে পারে শরীরকে চাঙ্গা করে সারাদিনের নানা রকম কাজে উদ্দীপ্ত করতে। তাছারা এই চা মাথা ধরা, গলা ব্যথা, সর্দি ও জ্বরে দারুণ
উপকারী কাজ করে। শীতকালে তো এই চা
খুবই উপকারী পথ্য। সারাদিন ৩/৪ কাপ
মশলাদার চা খেলে সর্দি
ও গলা ব্যথা কমে যায়। মশলা চা ছাড়াও লেবু
চাও খুব উপকারী। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ফলে শরীর বিভিন্ন রকম ভাইরাসের আক্রমন মোকাবেলা করতে পারে এবং ধুলাবালি ও ঠান্ডায় শ্বাসনালী
সংকোচিত হয়। ফলে
ডাস্ট ও কোল্ড এলার্জি
যাদের আছে তাদের শ্বাস কষ্ট হয়। কিন্তু এই মশলা চা
ও লেবু চা খেলে এই
সমস্যা দূর হয় এবল জমে
থাকা কফ তরল হয়ে
বের হয়ে আসে।
অন্যান্য
ঃ-
১/
রোদ পোহানো - রোদ পোহানো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে দিনের কিছুটা সময় অবশ্যই বড় ও ছোট
সবারই রোদে ঘন্টা
খানেক থাকা উচিত। আর যাদের ঠান্ডার
ধাত আছে তাদের জন্য তো অবশ্যই। কারন
রোদে থাকার সাথে শরীরে ভিটামিন - ডি তৈরির ব্যাপার
জরিত। তবে সকালের দিকের রোদটা বেশি উপকারী। বেলা
হয়ে গেলে রোদের তাপ বাড়ে, তখন বেশিক্ষণ রোদে থাকাও অস্বস্তিকর।
২/
নানা রকম ভর্তা - কথায়
আছে কালোজিরা প্রায় সকল রোগের ওষুধ। আর তাই সর্দি,
কাশি হলে বা জ্বর হলে
কালোজিরা ভর্তার দারুণ উপকারী। এছারাও
সরিষা ভর্তা, পেয়াজ ও মরিচের ভর্তা
সাথে সরিষার তেল খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি সর্দি কাশিতে খুবই উপকারী। সর্দিতে নাক বন্ধ থাকলে এক নিমিশে নাক
খুলে যায়।
৩/ প্রচুর
পানি খাওয়া- জ্বর হলে গলা বুক বারবার শুকিয়ো যায়। এছাড়া কাশি হলে প্রচুর পানি পান করা উচিত। হালকা গরম পানি বারবার পান করলে ঠান্ডার সমস্যা দূর হয় এবং গলায়
খুস খুসের সমস্যা দূর হয়। হালকা গরম পানি সামান্য লবন দিয়ে গারগেল করলে হলা পরিষ্কার হয়, ইনফেকশান গলায়,থাকলে দূর হয় এবং কাশিও
কমে, গলা ব্যথাও কমে। তাই সর্দি, কাশি ও জ্বর হলে
ফলের রস, স্যুপ, লেবুও মধুর শরবত ও হালকা গরম
পানি বারবার খেতে হয় এবং এগুলো
বেশ উপকারীও।
৪/
তেল মালিশ করা - অতি প্রচীল কাল থেকেই শিশু জন্মের পর থেকে সরিষার
গেলের মালিশের উপর জোর দেয়া হয়। যদিও এই তেল মালিশের
উপকারী ও ক্ষতিকর কোন
প্রভাবই নাই। অতি প্রচীন কাল থেকে তেল মালিশের উপর জোর দেয়া হয় তবে এগে
বিশেষ উপকার হয় কিনা তার
কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নাই। তবে তেল মালিশে শরীর গরম থেকে। এতে সর্দি কাশি হবার সম্ভাবনা কম হয়।
যে
কোন ঋতুর শুরু ও শেষের সময়টায়
ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি ও জ্বর লেগেই
থাকে। বিশেষ করে বর্ষা ও শীত এই
দুই ঋতুর শুরু ও শেষের সময়টায়
শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক কম বেশি সবারই
জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত নানা রকম ভাইরাস সংক্রামনে এই সমস্যাগুলো দেখা
দেয়। বিশেষ
করে যাদের ঠান্ডায় এলার্জি রয়েছে তাদের মোটেও এই সর্দি জ্বরকে
হেলা করা ঠিক না। কারন এই এলার্জি এক
সময় শ্বাস কষ্টের কারনও হয়ে যেতে পারে। তাই সমস্যা বৃদ্ধির পূর্বে বা ডাক্তারের কাছে
যাবার আগেই ঘরোয়া টোটকা যথাযথভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে খুব সহজেই রোগ নির্মূল করা সম্ভব।
★ মনে রাখা আবশ্যক জ্বর কিন্তু রোগের উপসর্গ মাত্র। ঋতু পরিবর্তন ও সর্দির কারনে যদি জ্বর আসে। কিন্তি জ্বরের তাপমাত্রা যদি উঠানামা করে এবং অনেক দিন স্থায়ী হয় তবে দেরী না করে অবশ্যই ডাক্তারের শরনাপন্ন হওয়া উচিত।